Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

“ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করার একটি পদক্ষেপ: ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রম”

দেশে দারিদ্র নিরসনে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও ভিক্ষাবৃত্তির মতো অমর্যাদাকর পেশা থেকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর আবাসন, ভরন-পোষণ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নেয়। আগষ্ট ২০১০ খ্রিঃ থেকে এ কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হয়। এর মূল লক্ষ্য হল ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে আয়বর্ধ্বক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা। পরোক্ষভাবে ভিক্ষুকদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান এবং সর্বোপরি সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধন।

সেই ধরাবাহিকতায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় শুরু হয় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম। গৌরীপুর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর থেকে শুরু হয় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচী । এই কর্মসূচীর অধীনে এপর্যন্ত প্রায় ৯৫০জনকে পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান করা হয় যাদের ৪৭০ জনকে নগদ অর্থ, উপকরণ, ভ্যান দোকান, পান দোকান, ডিম পাড়া মুরগি বিতরণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। আর যারা একে বারেই অক্ষম তাদের বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি কার্ড প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়।

লক্ষ্য:

ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান, পুনর্বাসন ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা।

 

উদ্দেশ্য: 

১. সমাজ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি দূর করা; 
২. ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা; 
৫. ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের দক্ষতা ও পেশা ভিত্তিক এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান; 
৬. প্রচার মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তির কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা; 
৭. অসুস্থ ভিক্ষুকদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা; 
৮. ভাসমান আশ্রয়হীন ব্যক্তিদের স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; 
৯. ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠিকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠিতে পরিণত করা; 
১০.শারীরিকভাবে অক্ষম/অসুস্থ ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। 

 

প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহের সংজ্ঞা / ব্যাখ্যা: 

ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তি: 

সড়ক, ফুটপাত, ট্রাফিক সিগন্যাল, বিভিনড়ব মার্কেট, পার্ক, রেল স্টেশন, বিভিনড়ব অফিস, মসজিদ, মাজার অথবা অন্য কোন প্রকাশ্য স্থানে যে ব্যক্তি নিজের অসহায়ত্ব অন্যের নিকট উপস্থাপন করে অর্থ সাহায্য প্রার্থনা করে সে-ই ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তি বলে গণ্য হবে। 


মোবাইল কোর্ট: ঢাকা শহরে বা দেশের অন্য যে কোন স্থানে ভিক্ষকমুক্ত করার লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট (ভবঘুরে আইন অনুযায়ী) পরিচালনা করাকে বুঝাবে। 

পুনর্বাসন সহায়তা: ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তির কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক উপার্জনমুখী কাজে পুঁজি সরবরাহের 

এককালীন অনুদানপ্রদান, পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দক্ষতা ও উপার্জনমুখী প্রশিক্ষণ, সহায়ক উপকরণ সরবরাহ বুঝাবে। 
কর্মসংস্থান: 
ক্ষুদ্র ব্যবসা, মুদি দোকান, চায়ের দোকান, পানের দোকান, কাঁচা মালের ব্যবসা, বাদাম বিক্রি,মসলা, কাঠ বিক্রি, সেলাই কাজ, পিঠা তৈরি, ডিমের ব্যবসা, ডিম পাড়া হাঁস-মুরগী পালন, পশু পালন, রিক্সা/ভ্যান চালকসহ যাবতীয় বৈধ পেশা বুঝাবে। 

ভিক্ষুক নির্বাচনে মানদণ্ড:

-ভিক্ষাবৃত্তির কারণ

-অতি দরিদ্র

-শারীরিক প্রতিবন্ধকতা,যেমনঃ- অন্ধও কানা, বোবা, হাত-পা নেই, মানসিক প্রতিবন্ধকতা,

-পরিবার কর্তৃকপরিত্যাগ।

-নদী ভাঙ্গনে বাস্তুভিটাহীন

-অতিবৃদ্ধ

-ছিন্নমূল

-অভ্যাসগত

 

 

জরিপ পদ্ধতি:

1.      বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরিপ সম্পন্ন করা হয়।

2.     জরিপের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি, জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরা হয়েছে।

3.      মসজিদ ভিত্তিক টিম গঠন

4.      ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন

5.     বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও বাজারে গমন করে জরিপ সম্পন্ন করা

6.     ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সদস্য ও কাউন্সিলরদের সহায়তা গ্রহণকরা  

৭.     জরিপ তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা টিম গঠন করে বাড়ি বাড়িগিয়ে / সরাসরি দেখার মাধ্যমে তালিকা পুনঃযাচাই সম্পন্ন করাহয়েছে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে ভিক্ষুকদের ছবিসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়েছে।

 

জরিপের ফলাফল:

গৌরীপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত এপর্যন্ত পুনর্বাসনকৃত ভিক্ষুক সংখ্যা 950 জন। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় অন্ধ 7জন, বধির 13জন, বোবা 15জন, পা নেই12জন, হাত নেই১0 জন, অন্যান্য 893 জন ।তথ্যদি নিম্নরুপঃ

উপজেলা

ভিক্ষুকেরসংখ্যা

ভিক্ষুকেরবৈশিষ্ট(অবস্থা)

পুরুষ

 

মহিলা

 

মোট

অন্ধ

বধির

বোবা

পা নাই

হাত নাই

অনান্য

গৌরীপুর

310

640

950

7

13

15

12

১0

893

 

* গৌরীপুর উপজেলার বাহিরের এলাকা থেকে আসা ভাসমান ভিক্ষুকদের জন্য তালিকা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

গৌরীপুর উপজেলায় পর্যন্ত ভিক্ষুক সংক্রান্ত সভা হয়েছে ৫টি, মোট ভিক্ষুক সংক্রান্ত মত বিনিময় সভার সংখ্যা ১৭টি, এ পর্যন্ত ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন ও গৌরীপুর পৌরসভা ভিক্ষুক মুক্ত হয়েছে। উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা

উপজেলার মোট ভিক্ষুক সংক্রান্ত সভার সংখ্যা

উপজেলার মোট ভিক্ষুক সংক্রান্ত মত বিনিময় সভার সংখ্যা

কতটি ইউনিয়ন ভিক্ষুক মুক্ত করা হয়েছে

বাকী রয়েছে

 

 

গৌরীপুর

৫টি

১৭টি

৯টি (পৌরসভা সহ)

২টি

 

 

পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান কার্যক্রম:

গৌরীপুর উপজেলায় ৯৫০জন ভিক্ষুকের মধ্যে সক্ষম ও অক্ষম ক্যটাগরিতে ভাগ করে পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।  

যেহেতু ২০১৮ সালের নীতিমালা প্রকাশের পূর্বে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয় তাই উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে জরিপ ফর্ম তৈরি করে জরিপ শুরু করা হয়। জরিপ কার্যক্রমে দেখা যায় গৌরীপুর উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণির /ক্যাটাগরির ভিক্ষুক বিদ্যমান। এ কারনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাধিক পদ্ধতি/মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। তাদেরকে বর্তমানে চালু সরকারি বিভিন্ন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা নিম্নরুপ:

সহায়তার ধরণ

কর্মসূচীর নাম/ প্রকল্পের নাম

সরকারি

বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, ভিজিডি, কর্মসংস্থান, কর্মসৃজনকর্মসূচি, হতদরিদ্রদের চাল বিতরণ, আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ,  ত্রাণ তহবিল হতে গৃহ নির্মাণের জন্য ঢেউটিন ও নগদ অর্থ প্রদান এবং অন্যন্য সরকারি দপ্তরের সহায়তা

নগদ অর্থায়ন

(সংস্থার তহবিল দ্বারা)

ক্ষুদ্র ব্যবসা, ভ্যান দোকান, চা এর দোকান, কাঁচা মালের ব্যবসা, পানের দোকান, বাদাম বিক্রি, মসলা বিক্রি, কাঠ বিক্রি,বাশ বেতের ব্যাবসা, ডিমের ব্যবসা , হাঁস-মুরগী পালন, আর্থিক সাহায্য, পিঠা তৈরী, পশু পালন

* ভিক্ষুক মুক্তকরণ কার্যক্রম এর অগ্রগতির সাথে তালিকা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

 

প্রাপ্ত অর্থ:

এ কর্মসূচীকে বাস্তব রূপদান করতে গৌরীপুর উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একদিনের বেতন উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গঠিত‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন এবং ভিক্ষুকদের বিকল্প কর্মসংস্থান’ এঁর তহবিলে প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উক্ত তহবিলে গৌরীপুর উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীর ১ দিনের বেতন থেকে ৮,৪৯,১২২/-টাকা এবং সরকারি বরাদ্দ ৯,০০,০০০/= মোট ১৭,৪৯,১২২ টাকা অনুদান পাওয়া গিয়েছে।

মনিটরিং কমিটি:

পুনর্বাসনকৃত ভিক্ষুকরা যেন পুনরায় পুরনো পেশায় ফিরে না যেতে পারে তাই গৌরীপুর উপজেলায় নিম্নরূপ মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

ক্রমিক

পদবী

কমিটিতে পদবী

সহকারী কমিশনার ভূমি

আহব্বায়ক

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার

সদস্য সচিব

উপজেলা সমবায় অফিসার

সদস্য

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার

সদস্য

সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র

সদস্য

 

গৌরীপুর উপজেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন এবং ভিক্ষুকদের বিকল্প কর্মসংস্থান’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে যে পদ্ধতি অনুসরণ হয়েছে:

1.গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সমাজসেবা অফিসার, অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা নিয়ে ভিক্ষুকদের একটি জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। উক্ত জরিপ ফর্মে ভিক্ষুকদের ব্যক্তিগত, বয়স, স্বাস্থ্যগত, অভ্যাসসহ প্রাসঙ্গিক তথ্যাদিসহ যারা ভিক্ষাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন তাও উল্লেখ রয়েছে। 

৩.শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভিক্ষাবৃত্তির কুফল এবং ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  

5.সার্বিক কার্যক্রম জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় ক্যাবল অপারেটর এর মধ্যমে প্রচারের জন্য ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।

6.যে সকল ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, তাঁদের পুনর্বাসনের আগেই সঠিক ভিক্ষুক কিনা যাচাই করা।

7.স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এ কর্মসূচিতে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হয় এবং সকল মহল থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা আশাব্যঞ্জক।

 

চ্যালেঞ্জসমূহ:

 

  • যুগ যুগ ধরে ভিক্ষাবৃত্তি চলে আসছে।
  • পুণ্য অর্জনের জন্য ভিক্ষা দান।
  • অনেক ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে।
  • শারীরিক অক্ষমতা / মানসিক অক্ষমতা।
  • পরিবারের সদস্যদের  দায়িত্ব না নেয়া/ অবহেলা।
  • অসুস্থতা এবং বার্ধক্য।
  • ছিন্নমূল ও পিতৃমাতৃহীন।
  • অন্য জেলা থেকে রেলওয়েতে ভিক্ষুকদের আগমন।
  • ভিক্ষুকদের  ভিক্ষাবৃত্তি পরিহারে অনীহা।

 

 

কর্মসূচীকে সমুন্নত (sustainable) রাখার উপায়/সুপারিশ সমূহ:

  • কর্মসূচীকে নিয়মিত মনটরিং ও ধারাবাহিকতার জন্য ভিক্ষুক মুক্তকরণ, ভিক্ষুক পুনর্বাসন এবং বিকল্প কর্মসংস্থান কমিটি গঠন করা।
  • নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা।
  • ভাসমান ভিক্ষুক যারা ভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভিক্ষা করে তাদের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে সারা দেশে পর্যায় ক্রমে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা এবং শাস্তি বিধান করা এবংনিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
  • মসজিদ, মন্দির, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বিভিন্ন মিডিয়ায় ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো।
  • সরকারি বেসরকারি সংস্থা , সিভিল সোসাইটি, জনপ্রতিনিধি ও মিডিয়াকে এ মহৎ কাজে সম্পৃক্ত করা ।